স্বদেশ ডেস্ক:
ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরীর মতো রাজনীতিবিদের থামাতে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা পৌর এলাকার রূপালী চত্ত্বরে ব্যবসায়ী ও পেশাজীবিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
নিক্সন চৌধুরীকে ইঙ্গিত করে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘এ দেশে যখন যারা ক্ষমতায় আসে কিছু কিছু লোক মনে করেন দেশটা তাদের।’ তিনি বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী সাহেব, আপনি কী করেন এ দেশের মানুষ তা জানে, মিডিয়া কর্মীরা জানে। আমি আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকদেরকে বলবো, আপনারা যদি নিক্সন চৌধুরীর মতো অপরাজনীতিবিদদেরকে না থামান, গণ আদালতে একদিন আপনাদের বিচার হবে।’
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে আজ আমাকে বলতে হচ্ছে বাংলাদেশের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে । আমি টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে বলছি। কিন্তু আমার নির্বাচনের মধ্যেও টেন্ডারবাজি হয়েছে। আমি মন্ত্রীর নিকট টেন্ডাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি এবং নোয়াখালীর পানি উন্নয়নের টেন্ডাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলায় এক উপজেলা চেয়ারম্যান তার কর্মীদেরকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা অপপ্রচার করছে।’
তিনি বলেন, ‘নোয়াখালীর সদরের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শামছুউদ্দিন জেহানের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টেন্ডার পাইয়েও দিয়েছেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনকে। তারা এখন আমার বিরুদ্ধে তার কর্মীদেরকে দিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভুয়া। সব দপ্তরে নিজেরা নিজেদের লোক দিয়ে টেন্ডারবাজি করছে। বিনিময়ে ১০-১২ পারসেন্ট হাতিয়ে নিচ্ছে।’
কাদের মির্জা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেন্ডারবাজি বন্ধের কথা বলায় ওই মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন, আমি যেন এ বিষয়ে লিপটনের সঙ্গে কথা বলি। তার মানে তারা আমাকে টাকা দিতে চায়। আমি বলে দিয়েছি এটা রি-টেন্ডার হতে হবে। এরা মন্ত্রীত্ব পেয়ে দেশকে লুটপাট করেছে। এসব কথা বললে আমাকে বলে পাগল, আমি নাকি উন্মাদ?’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গোলাম ছরওয়ার, সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান মিন্টু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্নাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও ব্যবসায়ী, বিভিন্ন পেশার লোকজনরা উপস্থিত ছিলেন।